Hanuman Chalisa in Bengali (হনুমান চালিশা বাংলা)

Jump To
হনুমান চালিসার গান
শ্রীগুরু চরণ সরোজ রজ নিজ মন মুকুর সুধার।
বরনৌ রঘুবর বিমল যশ যো দায়ক ফল চার॥
বুদ্ধিহীন তনু জানিকৈ সুমিরৌ পবন-কুমার।
বল-বুদ্ধি বিদ্যা দেহ মোর হরহু ক্লেশ বিকার॥
জয় হনুমান জ্ঞান গুণ সাগর।
জয় কপীশ তিহু লোক উজাগর॥
রামদূত অতুলিত বল ধামা।
অঞ্জনী-পুত্র পবনসুত নামা॥
মহাবীর বিক্রম বজরংগী।
কুমতি নিবার সুমতি কে সঙ্গী॥
কঞ্চন বরন বিরাজ সুবেসা।
কানন কুন্ডল কুঞ্চিত কেসা॥
হাত বজ্র অউ ধ্বজা বিরাজে।
কাঁধে মুঞ্জ জনেউ সাজে॥
শঙ্কর সুবন কেশরী নন্দন।
তেজ প্রতাপ মহা জগ বন্দন॥
বিদ্যাবান গুণী অতিচাতুর।
রাম কাজ করিবে কো আতুর॥
প্রভু চরিত্র শুনিবে কো রসিয়া।
রাম লক্ষণ সীতা মন বসিয়া॥
সূক্ষ্ম রূপ ধরী শিয়ঁহি দেখাবা।
বিকট রূপ ধরী লঙ্কা জরাবা॥
ভীম রূপ ধরী অসুর সংহারে।
রামচন্দ্র কে কাজ সঁভারে॥
লায় সঞ্জীবন লক্ষণ জিয়ায়ে।
শ্রীরঘুবীর হরষি উর লায়ে॥
রঘুপতি কিন্ধি বহুত বড়াই।
তুম মম প্রিয় ভরত সম ভাই॥
সহস্র বদন তুমি রস গায়।
আস কানহি শ্রীপতি কন্থ লাগায়॥
সনকাদিক ব্রহ্মাদি মুনি ইসা।
নারদ শারদ সহিত অহিসা॥
যম কুবের দিগপাল যেখানে।
কবিকোবিদ কোথে কবি শম নয়॥
তুম উপকার সুগ্রীবহি কীনহা।
রাম মিলায় রাজপদ দিনহা॥
তুমহর মনত্র বিভীষণ মানা।
লঙ্কেশ্বর ভৈ সুব জন জানা॥
যুগ সহস্র যোজন পর ভানু।
লীলয় তহি মধুর ফল জানু॥
প্রভু মুদ্রিকা মেলি মুখ মাঁহি।
জলধি লাঙ্গি গয়ে অচরজ নাঁহি॥
দুর্গম কাজ জগত কে জেতে।
সুগম অনুগ্রহ তুমহরে তেতে॥
রাম দুযারে তুমি রক্ষাৱারে।
হোত না আজ্ঞা বিনু পৈসারে॥
সব সুখ লহে তুমহর শরনা।
তুম রক্ষক কাহু কো ডর না॥
আপন তেজ সমহারো আপৈ।
তিনোঁ লোক হাঁক তে কাপৈ॥
ভূত পিশাচ নিকট নাহি আৱৈ।
মহাবীর যখন নাম শুনাৱৈ॥
নাসৈ রোগ হরে সব পীড়া।
জপত নিরন্তর হনুমত বীরা॥
সংকট তে হনুমান ছুড়াৱৈ।
মন ক্রম বচন ধ্যান যো লাৱৈ॥
সব পর রাম তপস্বী রাজা।
তিন কে কাজ সকল তুমি সাজা॥
অউর মনোরথ যো কোয় লাৱৈ।
তাসু অমিত জীবন ফল পাৱৈ॥
চারোঁ যুগ পরতাপ তুমহারা।
হয় প্রসিদ্ধ জগত উজিয়ারা॥
সাধু সন্ত কে তুমি রক্ষাৱারে।
অসুর নিকন্দন রাম দুলারে॥
অষ্টসিদ্ধি নউনিধি কে দাতা।
অস বর দিন জানকী মাতা॥
রাম রসায়ন তোমহরে পাসা।
সদা রহো রঘুপতি কে দাসা॥
তুমহরে ভজন রাম কো পাবৈ।
জনম জনম কে দুখ বিসরাবৈ॥
অন্তকালে রঘুপতি পুর জায়ী।
যাঁহা জন্ম হরি ভক্ত কহায়ী॥
অউর দেবতা চিত্ত না ধরাই।
হনুমত সে সব সুখ করাই॥
সংকট কাটৈ মিটৈ সব পীড়া।
যো সুমিরৈ হনুমত বীরা॥
জয় জয় জয় হনুমান গোসাঁই।
কৃপা করহু গুরুদেব কি নাঁই॥
যো শত বার পাঠ কর কৈ।
ছূটহি বন্ধি মহা সুখ হৈ॥
যো ইহ পড়ৈ হনুমান চালীসা।
হোয় সিদ্ধি সাখী গৌরীশা॥
তুলসীদাস সদা হরিচেরা।
কীজৈ নাথ হৃদয় মম ডেরা॥
॥ জয় শ্রী রাম ॥

হনুমানের আরতি -Hanuman aarti Bengali
হনুমান চালিশা পিডিএফ (PDF)
হনুমান চালিশা পিডিএফ – Download PDF
বাংলা ছবিতে পূর্ণ হনুমান চালিসা – Hanuman Chalisa Lyrics Image

Also Read: hanuman ji ke 12 naam
ganesh chalisa in bengali – বাংলায় গণেশ চালিসা
হনুমান চালিশা (Hanuman Chalisa) – বাংলা অর্থসহ

🕉 ভূমিকা
শ্রীগুরু চরণ সরোজ রজ, নিজমন মুকুর সুধারি।
বরনউ রঘুবর বিমল যশু, যো দায়ক ফল চারি॥
অর্থ: আমি আমার হৃদয়-আয়না গুরুর পদধূলি দিয়ে পরিষ্কার করছি, যাতে রঘুবরের (শ্রী রামের) নির্মল যশ গাইতে পারি, যা ধর্ম, অর্থ, কাম ও মোক্ষ—এই চার পুরুষার্থ দান করে।
বুদ্ধিহীন তনু জানিকৈ, সুমিরৌ পবন কুমার।
বল বুদ্ধি বিদ্যা দেহু মোহি, হরহু কলেশ বিকার॥
অর্থ: আমি মূর্খ জানি, তাই পবনপুত্র হনুমানকে স্মরণ করছি—তুমি আমাকে শক্তি, বুদ্ধি ও বিদ্যা দাও এবং আমার দুঃখ-দুর্দশা দূর করো।
1️⃣ জয় হনুমান জ্ঞান গুণ সাগর, জয় কপীশ তিহু লোক উজাগর।
অর্থ: হে হনুমান! তুমি জ্ঞান ও গুণের সাগর; তিন লোক তোমার নামেই আলোকিত।
2️⃣ রামদূত অতুলিত বল ধামা, অঞ্জনীপুত্র পবনসুত নামা।
অর্থ: তুমি শ্রী রামের দূত, অদ্বিতীয় বলের আধার; অঞ্জনা-পুত্র, পবন-দেবের সন্তান।
3️⃣ মহাবীর বিক্রম বজরঙ্গী, কুমতিনিবার সুমতিকে সঙ্গী।
অর্থ: তুমি মহাবীর ও বজরঙ্গী (বজ্রসম শক্তিশালী); তুমি দুষ্ট চিন্তা দূর করে সৎ চিন্তা দাও।
4️⃣ কাঞ্চন বরণ বিরাজ সুবেশা, কানন কুণ্ডল কুঞ্চিত কেশা।
অর্থ: তোমার দেহ সোনার মতো উজ্জ্বল; কানে দুলছে কুণ্ডল, কেশগুলি ঘন ও কুচকুচে।
5️⃣ হাথ বজ্র আও ধ্বজা বিরাজে, কান্ধে মূঞ্জ জনেউ সাজে।
অর্থ: তোমার হাতে বজ্র ও পতাকা শোভা পাচ্ছে; কাঁধে পবিত্র জেনে-উ (ব্রাহ্মণ সূত্র)।
6️⃣ শঙ্কর সুবন কেসরী নন্দন, তেজ প্রতাপ মহা জগবন্দন।
অর্থ: তুমি শিবের অবতার, কেশরীর পুত্র; তোমার তেজে সারা জগৎ বন্দিত।
7️⃣ বিদ্যাবান গুণী অতি চাতুর, রাম কাজ করিবে কো আতুর।
অর্থ: তুমি জ্ঞানী, গুণী, অতি চতুর; সর্বদা রামের সেবায় উদগ্রীব।
8️⃣ প্রভু চরিত্র শুনিবে কো রসিয়া, রাম লখন সীতা মন বসিয়া।
অর্থ: তুমি রাম-লক্ষণ-সীতার চরিত্র শুনে আনন্দ পাও; তাদের নামেই মন নিবিষ্ট।
9️⃣ সূক্ষ্ম রূপ ধরী সিয়হি দিখাও, বিকট রূপ ধরী লঙ্কা জ্বালাও।
অর্থ: তুমি সূক্ষ্ম রূপ নিয়ে সীতাকে দেখিয়েছিলে, আর বিকট রূপ নিয়ে লঙ্কা জ্বালিয়ে দিয়েছিলে।
🔟 লয় সঞ্জীবন লখন জিয়ায়ে, শ্রী রঘুবীর হর্ষি উর লায়ে।
অর্থ: তুমি সঞ্জীবনী বুটী এনে লক্ষ্মণকে বাঁচিয়েছিলে; রঘুবীর (রাম) তোমাকে হৃদয়ে ধারণ করেছিলেন আনন্দে।
শেষের অংশ (চৌপাই সংক্ষেপে অর্থ)
- রাম রাসায়ন তুমহরে পাসা – রামের নাম ও অনুগ্রহ তোমার সঙ্গে সর্বদা থাকে।
- সদা রহো রঘুপতি কে দাসা – তুমি চিরদিন রামের দাস ও ভক্ত।
- তুমহরে ভজন রাম কো পায়ে – যে তোমাকে ভজে, সে রামকে পায়।
- অন্ত কাল রঘুবর পুর যায়ে – মৃত্যুর সময় রামের ধামে গমন হয়।
- জো শত বার পাঠ কর কোনোই, ছুটহি বন্দি মহা সুখ হোই – যিনি শতবার হনুমান চালিশা পাঠ করেন, তার সব বন্ধন মুক্ত হয় ও সুখ লাভ হয়।
সারসংক্ষেপ
হনুমান চালিশা ভক্তকে সাহস, বুদ্ধি, শক্তি, এবং ভয়-মুক্তি দেয়।
প্রত্যেক চৌপাই রামভক্ত হনুমানের গৌরব, শৌর্য ও সেবার প্রতীক।
যে নিয়মিত ভক্তিভাবে পাঠ করে — তার মন শান্ত হয়, বাধা দূর হয়, ও ঈশ্বরপ্রেম বৃদ্ধি পায়।
- Hanuman chalisa in bengali
- Hanuman aarti in bengali
- Hanuman Chalisa in bengali pdf
- Shani chalisa in bengali
- subho mahalaya in bengali
In Bengali
1 | হনুমান চালিসা |
2 | হনুমান আরতি |
3 | শিব চালিসা |
4 | শনি চালিসা |
5 | গায়ত্রী মন্ত্রের কথা |
6 | শুভ মহালয়া |
FAQ
হনুমান চালিসা কে লিখেছেন?
হনুমান চালিসা 16 শতকে শ্রদ্ধেয় হিন্দু কবি-সন্ত গোস্বামী তুলসীদাস রচনা করেছিলেন। তুলসীদাস তাঁর সাহিত্যিক অবদানের জন্য সুপরিচিত, এবং হনুমান চালিসা তাঁর অন্যতম উল্লেখযোগ্য কাজ, যা ভগবান হনুমানকে উৎসর্গ করা হয়েছে।
হনুমান চালিসা কখন লেখা হয়?
হনুমান চালিসা 16 শতকে গোস্বামী তুলসীদাস লিখেছিলেন। এর রচনার সঠিক বছরটি 1575-1576 CE বলে মনে করা হয়। তুলসীদাস, একজন হিন্দু কবি-সাধক, তাঁর মহাকাব্য রচনা “রামচরিতমানস” এর অংশ হিসাবে এই ভক্তিমূলক স্তোত্রটি তৈরি করেছিলেন।
হনুমান চালিসা প্রথম কে লিখেছিলেন?
হনুমান চালিসা প্রথম রচিত হয়েছিল গোস্বামী তুলসীদাস, একজন হিন্দু কবি-সন্ত, 16 শতকে।
হনুমান চালিশা কি?
হনুমান চালিসা হল একটি ভক্তিমূলক স্তোত্র যা ভগবান হনুমানকে উৎসর্গ করা হয়েছে, হিন্দুধর্মের একজন শ্রদ্ধেয় দেবতা যা তার শক্তি, ভক্তি এবং ভগবান রামের প্রতি আনুগত্যের জন্য পরিচিত। স্তবকটি 40টি শ্লোক (চালিসা) নিয়ে গঠিত, যা 16 শতকে হিন্দু কবি-সন্ত গোস্বামী তুলসীদাস দ্বারা আওয়াধি ভাষায় লেখা। এটি তুলসীদাসের মহাকাব্যের একটি অংশ, “রামচরিতমানস”।
হনুমান চালিসা ভগবান হনুমানের গুণাবলী, শোষণ এবং ঐশ্বরিক গুণাবলী বর্ণনা করে। ভক্তরা হনুমানের আশীর্বাদ পেতে এটি পাঠ করে, যা শক্তি, সাহস এবং সুরক্ষা আনতে বিশ্বাস করে। স্তোত্রটি হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে ব্যাপকভাবে উচ্চারিত হয়, বিশেষ করে শুভ অনুষ্ঠান, ধর্মীয় অনুষ্ঠান এবং উৎসবের সময়। হনুমান চালিসা একটি শক্তিশালী এবং পবিত্র পাঠ হিসাবে বিবেচিত হয়, যা হনুমানের অনুসারীদের মধ্যে গভীর ভক্তি অনুপ্রাণিত করে।
হনুমান চালিসা কি শুধুমাত্র হিন্দি ভাষায় কার্যকর?
হনুমান চালিসা ভাষা নির্বিশেষে কার্যকর, কারণ ভক্তি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। ঐতিহ্যগতভাবে হিন্দি/সংস্কৃতে আবৃত্তি করা হলেও বিভিন্ন ভাষায় অনুবাদ বিদ্যমান। জপের আন্তরিকতা এর কার্যকারিতার চাবিকাঠি। বিভিন্ন পটভূমির লোকেরা এর আয়াতগুলিতে আধ্যাত্মিক সান্ত্বনা খুঁজে পায়।